ঢাকা: গলে টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছিলো শ্রীলঙ্কা। জবাবটা ভালই দিচ্ছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের শতক ও রেকর্ড জুটিতে ফলোঅন এড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলেছে সফরকারীরা।
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫৭০/৪ ডিক্লে.
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩৮/৪ (১৩৬ ওভার)
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫৭০/৪ ডিক্লে.
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩৮/৪ (১৩৬ ওভার)
গলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে বিপদেই ছিল সফরকারীরা। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬৫ রানে দুই উইকেট খুইয়ে ফেলায় ইনিংস হারের শঙ্কা ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে তৃতীয় উইকেটে মমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন আশরাফুল। দুই উইকেটে ১৩৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। অভিষেক ব্যাটসম্যান মমিনুল তৃতীয় দিন সকালে ২০ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন। কুলাসেকারার বল ম্যাথুসের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৫৫ রান করেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ সুবিধা করতে পারেননি। বিনা রানেই তার উইকেটটি তুলে নেন রঙ্গনা হেরাথ। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ১৭৭। তৃতীয় দিন ওখানেই উল্লাস শেষ হয় স্বাগতিক বোলারদের। দিনের বাকি সময় ছিলো মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২৬১ রানের জুটি গড়ে দলীয় ইনিংসকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান| তাদের অপরাজিত ২৬১ রানের জুটিই বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। উভয়েই শতকের দেখা পেয়েছেন। দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় পর শতক পেয়েছেন আশরাফুল। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক হাঁকিয়েছেন। শুধু শতকেই থেমে থাকেননি তিনি। ১৮৯ রান করে দ্বিশতকেরও দোরগোড়ায় রয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ এই টেস্ট সেঞ্চুরিম্যান। সারাদিন ক্রিজ আঁকড়ে থাকা আশরাফুল ৩৯৮ বল মোকাবিলা করে ২০টি চার ও এক ছয়ে এই রান করেন। কম যাননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। ১৮টি চার ও এক ছয়ে ১৫২ রান করেছেন, ২৩৬ বল মোকাবিলা করে। দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ৪৩৮ রান। লঙ্কানদের চেয়ে এখনো ১৩২ রানে পিছিয়ে থাকলেও ক্রিজে আশরাফুল ও মুশফিক থাকায় আশা দেখছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন বাংলাদেশের পতন হওয়া উইকেট দুটি পেয়েছেন নুয়ান কুলাসেকারা ও রঙ্গনা হেরাথ। কুলাসেকারা ৭৬ রান খরচে মমিনুলের এবং হেরাথ ১০৩ রান ব্যয়ে মাহামুদুল্লাহ’র উইকেটটি পেয়েছেন।