ঢাকা: বাংলাদেশ গেমস উপলক্ষে রাজধানী জুড়ে নেওয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা। র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কড়া নজরদারিতে রাখা হবে দেশের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া আসর। আমেরিকার বোস্টনে ম্যারাথন দৌড়ে সন্ত্রাসী হামলায় বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বাংলাদেশেরে সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া আসরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর ২০ এপ্রিল শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আসরের উদ্বোধন করবেন।
সূত্রে জানা যায়, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বোস্টনে ম্যারাথন রেসে বোমা হামলাসহ সবকিছুকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া আসরকে পূর্ণ নিরাপত্তায় আনা হয়েছে। রাজধানীর ২৭টি ভেন্যুতে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ভেন্যুগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, মিরপুর শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম, মোহাম্মদ আলী বক্সিম স্টেডিয়াম, বাস্কেটবল ইনডোর স্টেডিয়াম, জাতীয় শ্যূটিং কমপ্লেক্স, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, শারীরিক শিক্ষা কলেজ (মোহাম্মদপুর), বিকেএসপি (সাভার), বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম (কমলাপুর), বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম, ঢাকা ক্লাব স্কোয়াশ কোট, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোর জিমনেশিয়াম, শহীদ (ক্যাপ্টেন) মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম, কাবাডি স্টেডিয়াম, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেশিয়াম, জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স, সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম ভেন্যু উল্লেখযোগ্য। সূত্রে জানা যায়, খেলা চলার সময় এ সব ভেন্যুর চারপাশে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। এছাড়া আশপাশের সড়কগুলোয় যানচলাচলও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন থাকবে র্যাব-পুলিশ সদস্য। সাদা পোশাকে মাঠে থাকবে গোয়েন্দারা। বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভিও থাকবে। এরই মধ্যে গেমসের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে সমন্বয় করতে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবিষয়ে এ কমিটির প্রধান র্যাব মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই গেমসকে সামনে রেখে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, এই গেমসকে শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ করতে পারবো।” কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই উল্লেখ করে মোখলেসুর বলেন, “এ ক্রীড়া আসরকে ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। তারপরও আমরা এই গেমসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।” তিনি বলেন, “শুক্রবার মশাল ঢাকায় আনার পুরো পথেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।” ডিএমপি ডিসি (সদর) সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “বাংলাদেশ গেমস উপলক্ষে ভেন্যুগুলোতে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কিছু ভেন্যু এলাকার সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একইভাবে খেলার অন্যান্য ভেন্যুগুলোতেও থাকবে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।”