Saturday, April 20, 2013

আতশবাজি উৎসবে অষ্টম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন

ঢাকা: বাংলাদেশ গেমস উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ছিলো ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল স্বাক্ষরের সঙ্গে হৃদয়ে খেলার স্পন্দন শ্লোগানে চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানী আর আতশবাজীর প্রদর্শনীতে শুরু হয়ে গেল দেশের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। আন্তর্জাতিক মানের একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ গেমসের সিরিমনিজ কমিটির সদস্য লে. কর্ণেল কামরুল হাসান। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ২২ কোটি টাকার গেমসের সিংহভাগ অর্থই যেখানে ব্যয় হচ্ছে উদ্বোধনী ও সমাপনীতে।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরু হয় ডিজে রাহাত ও জেনিফারের পারফরম্যান্স দিয়ে। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মাতিয়ে রাখার কথা ছিল তাদের। কিন্তু  পারলেন না তারা। ডিজের পর শুরু হয় ব্যান্ড ডিসপ্লে। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে পুলিশের প্রায় চার শতাধিক বাদক দলের একটি গ্রুপ একঘেঁয়ে ব্যান্ড ডিসপ্লে দেখিয়ে গেলেন। এরপরই শুরু হয় ভিজুয়াল ডিসপ্লে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এ অংশটা ছিল চমৎকার। এলইডি স্ক্রীনে তুলে ধরা হল ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনসহ ফুটবল হকি ও ক্রিকেটে দেশের সাফল্যের খন্ডচিত্রসহ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের গৌরবময় অনেক কিছুই।

সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘটে স্টেডিয়ামে। এরপরই জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মাঠে ঢোকেন রেজোওয়ানা চৌধুরী বন্যা, স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পীগণসহ শতাধিক ক্ষুদে শিল্পী। জাতীয় সংঙ্গীতের পর গেমসে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের মার্চপাস্ট। গেমসের শপথ বাক্য পাঠ করেন দ্রুততম মানবী নাজমুর নাহার বিউটি। তার সঙ্গে ছিলেন দ্রুততম মানব মোহন খান। গেমসের সাংগঠনিক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিওএ সভাপতি ও সেনা প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া এবং গেমসের কো-চেয়ারম্যান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের বক্তব্যের পর ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং সুইচ টিপে গেমসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই ডিজিটাল স্বাক্ষর একই সঙ্গে পুরো স্টেডিয়ামে লেজার শোর মাধ্যমে ভেসে উঠে। এরপর স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করে গেমসের মাসকট তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে বেছে নেয়া কাঠবিড়ালি।

সাবেক কৃতী চার ক্রীড়াবিদ মশাল নিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করার পর মাঠের মাঝখানে স্থাপিত মূল মঞ্চে কৃত্রিম মশাল ভেসে  উঠে। তাতে আগুন প্রজ্বলন করেন সাবেক হকি তারকা জুম্মন লুসাই। সেই আগুন গিয়ে পরে মূল মশালে, জ্বলে উঠে গেমসের মশাল। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শংকর সাজোয়াল ৬০০ জন শিল্লী নাচে-গানে গ্রাম বাংলার জীবন এবং মুক্তিযুদ্ধের পর্ব ফুটিয়ে তোলেন। ৩০ মিনিটের প্রদর্শনী শেষে গেমসের থিম সং নিয়ে মঞ্চে আসেন বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া, শাকিলা জাফর, সুবির নন্দী, ফাহমিদা নবী ও কনা। চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনীতে শেষ হয় অষ্টম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের।